সাইফ উল্লাহ, সুনামগঞ্জ:
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলা চাঁদা দাবি করায় জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন উপজেলার সাচনা বাজার ইউনিয়নের দুলর্ভপুর গ্রামের হাজী রজব আলীর ছেলে ইয়াকবীর হোসেন।
বুধবার বিকেলে (৪ ডিসেম্বর) অভিযোগ থেকে জানাযায়, চাঁদা দাবী করেন উপজেলা ফেনারবাক ইউনিয়নের শ্রীমন্তপুর গ্রামের আলী আমজাদ-এর ছেলে কামরুল ইসলাম (৩৫), তায়েব নগর গ্রামের আব্দুল আহাদ এর ছেলে জয়নাল মিয়া (৩০), একরাম পুর গ্রামের কালাচান মিয়ার ছেলে বসির আহমেদ (৩৬) প্রমূখ। স্বাক্ষী উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের কালিপুর গ্রামের জমির আলীর ছেলে মো. সেলিম মিয়া, একই ইউনিয়নের লম্বাবাক গ্রামের করম আলী তালুকদারের ছেলে ইমরান তালুকদার, সাচনা বাজার ইউনিয়নের দুলর্ভপুর গ্রামের হাজী আব্দুল জব্বারের ছেলে ইউনুছ আলী প্রমূখ।
ইয়াকবীর এর লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, বিবাদীগণ পরধনলোভী জবর দখলকারী চাঁদাবাজ প্রকৃত লোক বটে। আমি বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কতৃপক্ষের নিকট হইতে ২০১৯-২০ অর্থ বছরের জন্য লিজ আনিয়া সরকারী নীতিমান অনুযায়ী শান্তিপূর্ণভাবে টুল আদায় করছি।
১নং বিবাদী কামরুল স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে আমার লোকজনকে এই বলে হুমকি দেয় যে, সরকার কতৃক দেওয়া ঘাটে টুল আদায় করতে হলে তিন লক্ষ টাকা চাদা দিতে হবে নতুবা টুল আদায় করতে দিবেনা। এরই জের ধরে ঘটনার দিন সময় ও তারিখ ১নং বিবাদী, ২ ও ৩নং বিবাদীকে সাথে নিয়া ঘটনার স্থলে আসিয়া আমার লোকজনের সাথে খারাপ আচারণ করে থাকে। আমার লোকজন খারাপ আচারণের প্রতিবাদ করিলে মারপিট করার জন্য কোদাইয়া আসে।
আমার ঘাটে নিয়োজিত টুল আদায়ের লোক হিসেবে স্বাক্ষীগণ থাকা অবস্থায় বিবাদীগণ পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমার ঘাটে দুর্নাম প্রচার করার জন্য ১নং বিবাদী বালি টানার মহিলা লেভারকে জোরপূর্বক আনিয়া ভয়ভীতি দেখাইয়া স্বাক্ষীগণের সাথে ছবি উঠায়। বিবাদীগণ এই বলে হুমকি দেয় যে, শালার বেটারা কি করে এখান থেকে সরাতে হয় তার পরিনাম দেখবি কিছু দিনের মধ্যে। নারী নির্যাতন মামলা দিয়ে তোদেরকে এখান থেকে সরিয়ে ফেরী ঘাটের নামে আমরা ঘাটের দায়িত্ব নিব এবং টুল আদায় করিব। উল্লেখ্য বিবাদীগণকে নিয়ে আমার নিয়োজিত টুল আদায় কারী ১নং স্বাক্ষী সেলিম মিয়ার নিকট থেকে রসিদ বহির পাতা নং ৯০১, ৯০২ ছিনিয়ে নিয়ে টুলের পরিমান ২৫০০/২৭৫০ টাকা লিখে সেই সাথে টুল আদায় করা ক্যাশে থাকা তিন দিনের কালেকশন টাকা ৩২, ৩৫০ টাকা ও এন্ড্রোয়েড মোবাইল দুইটি ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং টুল আদায়ের জন্য ব্যবহার করা নৌকাটি বিবাদীগণকে নিয়ে শুকনায় উঠিয়া রেখে দেয়। এবং আমার লোকজনকে ঘাট থেকে সরিয়ে দেয়। এখন যদি আমি বিবাদীগণদের চাদা বাজির বিষয়ে জোরালোভাবে প্রতিবাদ করি তাহলে ঘটনার স্থলে মারাত্নক দাঙ্গাহাঙ্গামা বা শান্তি শৃঙ্খলা বিঘ্ন সহ খুন খারাপি হইতে পারে। তাই আমি বিবাদীগণের চাদাবাজি বন্ধের জন্য ন্যায় বিচার প্রার্থনা করি।
এ ব্যাপারে কামরুল, জয়নাল, বসির আহমেদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে মোবাইল ফোন রিসিভ করেনী।
জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াংকা পাল বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।